Flying E Taxi: সভ্যতার অগ্রগতির একটি দারুণ নিদর্শন হল মোবাইল ফোন।যেদিন থেকে মোবাইল ফোন এসেছে পুরো দুনিয়া এক মুহূর্তে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।এটি আসার পর কিছু কিছু জিনিসের যবনিকা পতন ঘটেছে,আমাদের সমাজে।সেগুলি হল চিঠি,ঘড়ি,টর্চ,ইত্যাদি।একসাথে সব কিছুর সুবিধা সহজেই পেয়ে যাবেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।ধীরে ধীরে সমাজে এসেছে তারহীন DTH যুক্ত স্মার্ট টিভি।আবার এখন আর ঘণ্টার পর ঘন্টা ব্যাংকে গিয়ে লাইন দেওয়ার দিন শেষ।অনলাইন ই কমার্স এসে গেছে।যার মাধ্যমে ঘরে বসেই ব্যাংকের সুবিধা পেয়ে যাবেন।
এবার পরিবহন ব্যবস্থার সংজ্ঞা বদলে দিতে হাজির Flying E Taxi। যত দিন যাচ্ছে সভ্যতা ততই এগিয়ে যাচ্ছে,তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি ঘটছে।সেই তথ্য প্রযুক্তির অনন্য এক নিদর্শন হল উড়ন্ত ট্যাক্সি।এতে কম সময়ে মানুষ তাড়াতাড়ি নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।উড়ন্ত ট্যাক্সির এই অভাবনীয় পরিকল্পনায় এবার সবুজ সংকেত দিলো আনন্দ মাহিন্দ্রা।তিনি তার এক্স প্ল্যাটফর্মে অর্থাৎ আই আইটি মাদ্রাজের ই প্ল্যান দ্বারা তৈরি এই যানের একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
Flying E Taxi:
এখনও বাজারে আসে নি এই ট্যাক্সি।বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট চলছে।কোম্পানি জানাচ্ছে তিন জন মানুষকে নিয়ে অনায়াসে ১০ কিলোমিটার পথ আধ ঘন্টায় পৌঁছে দিতে প্রস্তুত হবে এই ট্যাক্সি।০.৫ থেকে ২ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়তে পারে এই ট্যাক্সি।এত দিন মানুষ যানজটের সমস্যায় ভুগেছে।রাস্তায় একবার জ্যাম শুরু হলে ১ ঘণ্টার রাস্তা ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় নিয়ে নেয়। এবার সভ্যতার অগ্রগতি রেহাই দেবে মানুষকে এই যানজট থেকে।বিশেষ করে এমার্জেন্সি থাকলে,অনেকটাই সুবিধা হবে মানুষের।সর্বোচ্চ ২০০ কেজি ওজন নিতে সক্ষম এই ট্যাক্সি।একবার ফুল চার্জে ২০০ কিলোমিটার উড়তে সক্ষম।
আরও পড়ুন: Hero Passion XTec: এক লিটার তেলে চলবে ৬৮ কিলোমিটার! Passion XTec-এর ফিচারস অবাক করবে আপনাকেও
Flying E Taxi Fare:
এখনও পর্যন্ত জানা যায় নিয়েই ভাড়া কেমন হতে পারে।তবে আশা করা হচ্ছে,সাধারণ ট্যাক্সির তুলনায় ভাড়া ডবল হতে পারে।তবে কবে বাজারে লঞ্চ হবে এখনও কোনো তথ্য প্রকাশ পায় নি।সব প্রোটোটাইপ প্রকাশ্যে এসেছে।আপাতত বাজারে আসতে দেরী হতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।