একটি নাট বা পিলার ছাড়াই দিব্য দাঁড়িয়ে রয়েছে হাওড়া ব্রিজ। অবাক লাগে না ভাবতে? সত্যিই অবাক করার মতোই ঘটনা।কলকাতার অন্যতম দর্শনীয় স্থান হাওড়া ব্রিজ। কলকাতায় গিয়ে একবার না একবার এই ব্রিজ না দেখলে, কলকাতা যাওয়া বৃথা। হাওড়া ব্রিজের উপরে উঠে গঙ্গার দৃশ্য মন ভালো করে দেয়। তেমনই কলকাতার দিক থেকে হাওড়া ব্রিজকে দেখতে অপূর্ব লাগে। এই ব্রিজটি ইংরেজ আমলে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় দ্বারা তৈরি হওয়ায় এটি ভারতীয় কারিগরি প্রতীক। ৭৫ বছর পেরিয়ে গেছে এই ব্রিজের। তাও একইভাবে বিদ্যমান এই ব্রিজ।
কলকাতা, সুতানূটি এবং গোবিন্দপুর নিয়ে তৈরি কলকাতা এবং হাওড়ার মতো কমার্শিয়াল হাব– এই দুটি গঙ্গাপাড়ের এলাকাকে জুড়ে দেওয়ার প্রয়োজন অনুভবের তাগিদেই এই ব্রিজ নির্মিত। ১৯০৬ সালে হাওড়া স্টেশন তৈরি হওয়ার পরে সেই চাহিদা আরও বেড়ে যায়। ১৮৭৪ সালে রেলওয়ে প্রধান প্রকৌশলী দ্বারা এই সেতুর ডিজাইন তৈরি করা হয়। সাত বছর পর ১৯৪৩ সালে নতুন হাওড়া ব্রিজের পথ চলা শুরু হয়।
তবে এই সুবিশাল ব্রিজ তৈরিতে একটিও নাট-বোল্ট লাগাতে হয়নি। মেটাল প্লেটগুলিকে এমনভাবে বসিয়ে চেপে দেওয়া হয়েছে যাতে কোনও নাট-বোল্ট ও স্ক্রু লাগানোর দরকার হয় না। নাট-বোল্ট ও স্ক্রু ছাড়াই এতো বড় ব্রিজটি সফলভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি এই ব্রিজটির পিলার বা স্তম্ভ নেই। এটিকে বলা হয় সাসপেন্ডেড-টাইপ ব্যালান্সড কান্টিলিভার ব্রিজ। তবে ১৯৬৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অনুসারে এই সেতুর নামকরণ করা হয় রবীন্দ্র সেতু। তবে হাওড়া ব্রিজ নামেই অধিক পরিচিত এই সেতুটি।