ট্রেন্ডিং নিউজটেক নিউজবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলঅফবিট

ঠিক যেন ‘রোমিও-জুলিয়েট’, ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর প্রেমকাহিনী হার মানাবে রূপকথার গল্পকেও

Published on:

রোমিও-জুলিয়েটের (Romeo-Juliet) প্রেমকাহিনী নিয়ে কতোই না গল্পকথা রয়েছে। সাহিত্য, কাব্যে, লোকাচারেও তেমনই রয়েছে কতোশত প্রেমকাহিনী। কিন্তু বাস্তবে সত্যিকারের প্রেমকাহিনী ক’টা শোনা যায়? যে একগাল হাসি নিয়ে পাশে থাকবে প্রেমিকার, যে প্রেমিকার শেষ সময়েও আগলে রাখবে তাঁকে। হয়তো এমন প্রেমকাহিনী কমই রয়েছে। কিন্তু তার মাঝেও ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) এবং সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) জুটি যেন মনে দাগ কেটে যাবে। রোমিও-জুলিয়েটের প্রেমকাহিনীকেও ছাপিয়ে যাবে এই জুটির গল্প।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Image 75, ঠিক যেন ‘রোমিও-জুলিয়েট’ ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর প্রেমকাহিনী হার মানাবে রূপকথার গল্পকেও, ঠিক যেন ‘রোমিও-জুলিয়েট’, ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর প্রেমকাহিনী হার মানাবে রূপকথার গল্পকেও

২০১৭ সালের ঝুমুর ধারাবাহিকের সেটে আলাপ হয় দুজনের। পরিচয় থেকে প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। এ প্রেম, যে সে প্রেম নয়। এই প্রেম বাকি গল্পগুলোর মতো হাত ছেড়ে সরে যেতে শেখায় না কাউকে, বরং মৃত্যুর আগে এবং পরেও ভালোবাসার মানুষকে মনে গেঁথে রাখতে শেখায়। সব্যসাচী চৌধুরী ক্যান্সারের সময় থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগের মুহূর্ত- সবসময় ঐন্দ্রিলার পাশে থেকেছেন সব্যসাচী। কখনো গল্প পড়ে শুনিয়েছেন, কখনো বা খাইয়ে দিয়েছেন নিজের হাতে। আগলে রেখেছেন, যত্ন করেছেন প্রেমিকাকে।

ঐন্দ্রিলা শর্মা এর আগে যখন দ্বিতীয়বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং যখন তাঁর কেমমোথেরাপি চলে, তখন থেকেই ঐন্দ্রিলার পাশে ঢালের মতো দাঁড়িয়েছেন সব্যসাচী। এমনকি ১ লা নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিন থেকে শুরু করে একেবারে শেষ মুহূর্ত অব্দি পাশে থেকেছেন প্রেমিকার। এমনকি নিজের হাতে ঐন্দ্রিলার মুখাগ্নি পর্যন্ত করেছেন সব্যসাচী।

Image 77, ঠিক যেন ‘রোমিও-জুলিয়েট’ ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর প্রেমকাহিনী হার মানাবে রূপকথার গল্পকেও, ঠিক যেন ‘রোমিও-জুলিয়েট’, ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর প্রেমকাহিনী হার মানাবে রূপকথার গল্পকেও

সব্যসাচী যেভাবে ঐন্দ্রিলার পাশে থেকেছেন সবসময়, সেইভাবে ভালোবাসার মানুষের পাশে কতজন থাকতে পারে? ঐন্দ্রিলার জীবনের শেষ কুড়ি দিনে নাওয়া-খাওয়া ভুলে সব্যসাচী শুধু ঐন্দ্রিলার সুস্থতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নিজের হাতে যাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন,তাঁকে নিজের হাতেই ফেরানোর ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব্যসাচী হয়তো ঘরে ফেরাতে পারলেন না প্রেমিকা ঐন্দ্রিলাকে। কিন্তু মনের মধ্যে সব্যসাচী রেখে দিলেন ঐন্দ্রিলাকে, ঐন্দ্রিলার স্মৃতিকে।

About Author
Tamalika Sengupta

বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।