আগামী ২০ শে নভেম্বর মৃত্যু হয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। জীবন, মৃত্যুর টানাপোড়েনের মধ্যে জীবন হার মানে মৃত্যুর কাছে। দীর্ঘদিনের লড়াই শেষে মৃত্যু হয় তাঁর। ১ লা নভেম্বর ব্রেন স্টোক হয়ে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছিল, তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গেছিল। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, প্রথমদিকে অভিনেত্রী চিকিৎসায় সাড়া দিলেও, পরবর্তীতে চিকিৎসাতেও কোনও কাজ হয়নি আর।
ঐন্দ্রিলা শর্মা ক্যান্সার জয়ের পরে নিজের ছন্দে ফিরেছিলেন।দাদাগিরি মঞ্চে এসেছিলেন। জি বাংলা অরিজিনাল ছবি ‘ভোলে বাবা পার করেগা’-তে অনির্বাণ চক্রবর্তীর মেয়ের চরিত্রেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এছাড়াও ঐন্দ্রিলার একটি ওয়েব সিরিজের জন্য গোয়া যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন সবকিছু শেষ হয়ে গেল। তবুও তিনি জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত পাশে পেয়েছিলেন তাঁর পরিবার এবং তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীকে।
ঐন্দ্রিলার কথা ভুলতে পারেননি ঐন্দ্রিলার পরিবার। মানসিকভাবে ভেঙে পরেছেন সকলেই। তবে শুধু পরিবারের লোকজন বা প্রেমিক নয়। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে আরও দুজনের মনে বিষাদের ছায়া। সেই দুজন হল ঐন্দ্রিলার বাড়ির পোষ্য তোজো ও বোজো। এই দুজন ঐন্দ্রিলার খুব প্রিয় দুই পোষ্য ছিল। ঐন্দ্রিলা বাড়িতে না থাকলে দিদির জন্য অপেক্ষা করতো এই দুই পোষ্য। আর তাদের দিদি অর্থাৎ ঐন্দ্রিলা ঘরে ফিরলেই দিদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত তোজো আর বোজো।
কিন্তু ২০ শে নভেম্বর, রবিবার সন্ধ্যায় যখন কুঁদঘাটের আবাসনে ঐন্দ্রিলার মরদেহ আনা হয়, তখন সকলের মতো সেখানে এই দুই সারমেয়ও আনা হয়। তারা যেন বুঝতে পেরেছিল ব্যাপারটা। ঐন্দ্রিলার গা শুঁকতে শুরু করে এই পোষ্যরা। ঐন্দ্রিলার দিদি জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকে তোজো, বোজো গেটের দিকে তাকিয়ে আছে। এমনকি ঐন্দ্রিলার মৃতদেহ যেখানে রাখা হয়েছিল, সেই জায়গাটা শুঁকতে চলে যাচ্ছে এই দুজন। তারা হয়তো ভেবেছে, তাদের দিদি হয়তো ফিরবে আবার তাদের কাছে। কিন্তু ঐন্দ্রিলা শর্মা আর ফিরবে না কারুর মাঝে।