ট্রেন্ডিং নিউজটেক নিউজবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলঅফবিট

সবাই স্বার্থপর! অভিষেক চলে যেতেই সবাই ভুলে গিয়েছে, কেউ খোঁজও নেয় না! অভিমানী অভিযোগ স্ত্রী সংযুক্তার

Published on:

গত 24 শে মার্চ আমরা অভিষেক চ্যাটার্জি (Abhishek Chatterjee) কে চিরদিনের মতো হারাই। তিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণা ছিলেন। একসময় টলিউডের নামকরা অভিনেতা ছিলেন তিনি। 90 টির বেশি ফিল্মে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তৎকালীন সময়ে নামকরা তারকাদের সাথে পার্শ্ব চরিত্রে, খলনায়ক চরিত্রেও তাকে দেখা যেত। তার কাজ করা বেশিরভাগ ফিল্মই হিট হয়েছিল। কিন্তু বিধি বাম থাকলে যা হয়। হঠাৎই ইন্ডাস্ট্রিতে কোণ ঠাসা করে দেওয়া হয় তাকে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

একের পর এক ফিল্ম হাত ছাড়া হতে থাকে তার। বহু বছর পর এক টক শো তে তিনি জানিয়েছিলেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পলিটিক্সের কথা। তার মুখ দেখেই সেদিন বোঝা গেছিল ঠিক কতটা পরিমাণ অভিমান বুকে চেপে রেখে নিঃশব্দে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ত্যাগ করেছিলেন অভিষেক চ্যাটার্জি। এর পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে।

তারপর হঠাৎ ছোটো পর্দার মাধ্যমে অভিনয় জগতে কামব্যাক করেন তিনি। নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জিততে সময় লাগেনি তার। মৃত্যুর আগের দিন রাত অবধি কাজ করে গেছেন তিনি। তার এই হঠাৎ চলে যাওয়া মানতে পারেননি কেউই। আজও মনে হয় গুনগুনের “ড্যাডি”কে টিভির পর্দায় গেলেই দেখা যাবে।

অভিষেক চ্যাটার্জি বেঁচে থাকলে ধুমধাম করে তার 58 তম জন্মদিন সেলিব্রেট করা হত। তার জন্মদিনের মতো আবেগঘন দিনে অভিষেক চ্যাটার্জির স্ত্রী সংযুক্তা চ্যাটার্জি একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন অভিষেক চ্যাটার্জি একজন আদর্শ স্বামী ও আদর্শ বাবা ছিলেন। তার মত স্বামী, বাবা পাওয়ার কল্পনা প্রতিটি মেয়ে করে। পোস্টটির শেষে অভিষেক চ্যাটার্জির প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন তিনি।

তার মেয়ে ডল কেক কেটেছিল তাকে স্মরণ করে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন অভিষেক চ্যাটার্জির স্ত্রী সংযুক্তা চ্যাটার্জি। তার জন্মদিন উপলক্ষে আনা হয়েছিল পিচ রঙের বড় একটি ফুলের ডিজাইন করা কেক। সেই কেকের গায়ে আঁকা ছিল একটি পুরুষালি হাত। যেই হাত ধরেছিল একটি মহিলা ও একটি বাচ্চার হাত। দেওয়ালে টাঙানো অভিষেক চ্যাটার্জির বড়ো সাদা-কালো ছবির সামনে মধ্যরাতে কেক কেটেছিল ডল। ডল অভিষেক চ্যাটার্জির গর্ব। আজ তিনি স্ব-শরীরে না থেকেও তাদের কাছে আছেন।

6 মাস হয়ে গেছে তিনি আর আমাদের মাঝে স্ব-শরীরে নেই। অনেকেই সংযুক্তা (Sanjukta) কে দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন। যা সংযুক্তা নাকচ করে দেন। একটি সংবাদ মাধ্যমকে ইন্টারভিউ (interview) দেওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় অভিষেক চ্যাটার্জী মারা যাওয়ার পর থেকে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবেরা তাদের খোঁজখবর নেয় কিনা? বা প্রয়োজনে পাশে থাকে কিনা? এর উত্তরে সংযুক্তা চ্যাটার্জি কিছুক্ষণ চুপ থেকে জানান কেউই তাদের খবর নেয় না।

এতে ডলও মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়। তাদের এক্সপ্রেশন দেখে বোঝাই গেছে এতে তারা কিছুটা হলেও কষ্ট পেয়েছেন। তবে চাকরীসূত্রে জীবনের বেশ কিছুটা সময় মুম্বাইয়ের মত বড় শহরে কাটিয়েছেন সংযুক্তা। যার ফলে তিনি একা থাকতে পারেন। একা জীবন কাটাতে তার অসুবিধা নেই। এই সবই তার অভ্যাস। ফলে কে খবর নিল বা কে নিল না, কে প্রয়োজন এর সময়ের পাশে থাকল অথবা থাকল না এতে খুব একটা যায় আসে না তার। এই কথা স্পষ্ট করেই এদিন জানিয়ে দিয়েছেন সংযুক্তা।

About Author
Tamalika Sengupta

বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

Leave a Comment