ট্রেন্ডিং নিউজটেক নিউজবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলঅফবিট

‘প্ল্যান করেই সিনেমা থেকে সরিয়ে দিতেন অমিতাভ পত্নী জয়া’, বিস্ফোরক মন্তব্য মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের

Published on:

ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একসময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি।বলিউড এবং টলিউড দুই জায়গাতেই নিজের অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অতীত জীবন নিয়ে একগুচ্ছ কথা বললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়। মাঝখানে বেশ কিছুটা সময় তিনি সরে গিয়েছিলেন অভিনয় জগত থেকে। তবে লাইমলাইট থেকে তিনি কখনোই হারিয়ে যাননি।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

শেষবার সুজিত সরকার পরিচালিত ‘পিকু’ ছবিতে দেখা গেছে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে। ২০১৫ সালে এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল বক্স অফিসে। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে নিজের কেরিয়ার নিয়ে অজানা একগুচ্ছ গল্প শোনালেন জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি কখনই তার ব্যক্তিগত জীবনকে নষ্ট করতে চাননি। মিশিয়ে ফেলতে চাননি ব্যক্তিগত জীবন এবং কাজ। এই কারনেই একাধিক ছবি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

অভিনেত্রী জানান,কোশিশ’ ছবিতে সঞ্জিব কুমারের বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল তার।এমনকি শুরুও হয়ে গেছিল ছবির শ্যুটিং। তবে তিনি নাকি শিকার হয়েছিলেন ম্যানিপুলেশনের। আর সে কারণেই ছবি থেকে সরে দাঁড়ান অভিনেত্রী। তাঁর বদলে বেছে নেওয়া হয় অমিতাভ বচ্চন পত্নী জয়া বচ্চনকে।এই বিষয়ে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, ‘যে সময় কোশিশ ছবির শুটিং চলছিল সে সময় নিত্যদিন জয়ার ম্যানেজার শ্যুটিং সেটে ঘুরঘুর করত। তারপর হঠাৎ করেই আমাকে বলা হয় একটু রাত করে শ্যুটিং- এ আসতে হবে। কিন্তু আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম বাড়িতে আমার ছোট সন্তান আছে। তাই আমি রাত করে আসতে পারবো না। এরপরেই সকলের সামনে আমাকে বলা হয় এই ছবির জন্য নাকি বহু অভিনেত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমিও জানিয়ে দিই তাহলে তাদের মধ্যে কাউকে বেছে নিন’।

‘কোশিশ’ ছবিতে ফুটে উঠেছিল মুখ এবং বধির এক জুটির গল্প। অভিনয় করতে দেখা গেছে সঞ্জীব কুমার এবং জয়া বচ্চনকে। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল এই ছবি। যদিও এই ছবিতে কাজ করার কথা ছিল মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবী করেছেন বর্ষীয়ান এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

About Author
Tamalika Sengupta

বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।