এখন ছোটো থেকে বড়ো প্রতিটি মানুষের হাতেই আছে কমপক্ষে একটি করে স্মার্টফোন। আর এই স্মার্টফোনেই লুকিয়ে আছে গোটা জগৎ অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া। বর্তমান সময়ে প্রায় সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। এই যুগটাকে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ বললেও ভুল কিছু হবে না।
এখন সবকিছুই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়া যায়। যেমন- সাজ সরঞ্জামের জিনিস, পড়াশোনার সামগ্রী, নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহারের সব জিনিস, খাবার দাবার ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে মূলত ইউটিউব, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক কেই বোঝানো হয়। নিত্যদিন এত পরিমাণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অলস সময় কাটান যে কোনো না কোনো ভিডিও, ছবি, খবর প্রতিদিন ভাইরাল হতেই থাকে।
সম্প্রতি একটি খবর সামনে এসেছে। ত্রিপর্ণা চক্রবর্তী নামের এক মেয়ে ঘুমিয়ে জিতেছে পুরস্কার। অতিরিক্ত ঘুমের জন্য লোকের কথা শুনতে হয়েছে, বকা খেতে হয়েছে। কিন্তু এই ঘুমই তাকে 5 লাখ টাকার পুরস্কার এনে দিয়েছে। একটি ম্যাট্রেস সংস্থার তরফ থেকে ঘুমের প্রতিযোগিতা হয়েছিল। MBA করার সময় এই প্রতিযোগিতার সম্পর্কে জেনেছিলেন তিনি। তিনি জানতেন না এটা যে প্রতিযোগিতা, তিনি ভেবেছিলেন এটি ইন্টার্নশিপ।
আয়োজক সংস্থা প্রথমে আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। তারা জানার চেষ্টা করেছেন ঘুমকে কে কতটা প্রাধান্য দিচ্ছে। সাড়ে পাঁচ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে থেকে 15 জনকে বেছে নেন তারা। এরপর তাদের 100 দিন 9 ঘন্টা করে ঘুমাতে বলা হয়। তাদের দেওয়া হয়েছিল একটি ম্যাট্রেস ও একটি স্লিপ ট্র্যাকার। এরপর ফাইনালের জন্য 4 জনকে বেছে নেন তারা।
তবে এই প্রতিযোগিতার কারণে জোর করে ঘুমাতে হয় নি ত্রিপর্ণা কে। ছোট থেকেই এই ঘুমের জন্য তাকে বকা খেতে হয়েছে বারবার। এমন কি স্কুল, কলেজেও ঘুমোতে দেখা গিয়েছে তাকে। ত্রিপর্ণা জানিয়েছেন একবার অংক পরীক্ষা দিতে গিয়ে সেখানে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ঘুম ভেঙেছিল 40 মিনিট পর। এমনকি SAT পরীক্ষা দিতে গিয়েও সেখানে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পরে পরীক্ষক ডেকে তাকে চা খাইয়ে ছিলেন।
তবে যেখানে সেখানে, যখন তখন ঘুমিয়ে পড়া যে ভালো নয় তা তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পর বুঝতে পেরেছেন। রাতে তার অফিস থাকে তাই এই প্রতিযোগিতার কারণে দিনে ঘুমাতে হতো তাকে। ত্রিপর্ণা জানিয়েছেন দিনে কেউ যতই ঘুমাক না কেন, রাতের ঘুম তো রাতেরই হয়। প্রথম প্রথম খুব অসুবিধা হতো তার। খুব একটা ভালো স্কোর হত না। কিন্তু পরের দিকে তিনি পেরেছেন।