ট্রেন্ডিং নিউজটেক নিউজবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলঅফবিট

‘ধূলোকনা’ নয় নামটা ‘বিয়েকনা’ করে দিন! ধারাবাহিকে ববারংবার বিয়ের দৃশ্য দেখানো নিয়ে ক্ষিপ্ত দর্শককূল

Published on:

‘ধূলোকাণা’ (Dhulokana) স্টার জলসার (Star Jalsha) বর্তমান জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির মধ্যে একটি। ধারাবাহিকের অসাধারণ কাহিনী বুননের জন্য দর্শকদের প্রথম থেকেই নজর কেড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এই কাহিনীর কারণেই দর্শকদের এই ধারাবাহিকের প্রতি বিতৃষ্ণা বেড়েছে, এবং একই সাথে চলছে প্রবল সমালোচনা। এই সমালোচনার ঝড় লেখিকার উপরেও আছড়ে পড়ছে। লেখিকার লেখনী এবং মানসিকতার উপরে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরেরা।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ধারাবাহিক যখন শুরু হয়েছিল তখন কাহিনীতে ছিল, ফুলঝুরি সে এক বস্তির মেয়ে। তিনি একটি বাড়িতে কাজ করেণ এবং তার স্বপ্ন ছিল সংসারের। এই গল্পের নায়কের নাম লালন। ফুলঝুরি এবং লালন একই বাড়িতে কাজ করেন, লালন সেই বাড়িতে ড্রাইভার হিসাবে কাজ করেন। কিন্তু লালন স্বপ্ন দেখেন তিনি একজন বড় গায়ক হবেন। এই স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যে দিয়ে কাহিনী এগিয়ে যায়। কিন্তু এখন কাহিনী সম্পূর্ণ বদলে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাচক্রে লালন এবং ফুলঝুরি একে অপরের প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু প্রতিটা প্রেম সম্পর্কের মতো তাদের জীবনেও রয়েছে বাঁধা। তাদের মধ্যে চড়ুই নামের চরিত্রকে এনে জটিলতার সৃষ্টি করানো হয়। ফুলঝুরি লালনের প্রেম পরিণয়ের বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় চড়ুই। চড়ুই চক্রান্ত করে ফুলঝুরির জায়গায় নিজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন, এবং লালনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঘটনাচক্রে লালন চড়ুইয়ের ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারেন ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে লালন এবং চড়ুইয়ের।

পরবর্তীতে লালনের ফুলঝুরির সাথে আবার বিবাহ হয়। কিন্তু সেই বিবাহ সুখের হওয়ার আগেই চড়ুই এবং চড়ুইয়ের মায়ের ষড়যন্ত্রের শিকার হয় লালন। সমুদ্রের জলে ডুবিয়ে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র হয় তার বিরুদ্ধে। এবং লালন সমুদ্রের জলে ডুবে যায়। সবাই লালনের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এবং ফুলঝুরি বিধবার বেশ ধারণ করেন। এদিকে লালন বেঁচে আছেন কিন্তু তার স্মৃতি বিভ্রম হয়েছে। বর্তমানে তিনি একজন ডাক্তারের বাড়িতে আশ্রিত হলেও ডাক্তার বাড়িতে লালন ছেলের মত যত্নে থাকে।

এরপর কাহিনীতে নিয়ে আসা হয় তিতির নামের চরিত্র। তিনি ওই ডাক্তারের মেয়ে। তিতির এদিকে লালনের প্রেমে মেতেছে এবং লালনের সাথে সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই লালন এবং তিতিরের বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। এদিকে স্মৃতি বিভ্রম জনিত কারণে লালন ফুলঝুরি, তার বাবা, মা, দিদি কাউকে দেখেই চিনতে পারেনি। এদিকে লালন তিতির সঙ্গে বিয়ের জন্য প্রস্তুত।

এইখানেই দর্শকরা চটেছেন। দর্শকরা বলেছেন বিয়ে দেখিয়ে টিআরপি বাড়ানোর সুযোগ লীনা গাঙ্গুলী ছাড়তে চাননা। এক সমালোচক ধারাবাহিকের নাম এবং কাহিনীর দিকে তাকিয়ে ‘ধূলোকণা’র বদলে ‘বিয়েকণা’ রাখবার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বারবার লালনের সাথে অন্য কারো বিয়ে ঠিক হলেও, শেষ পর্যন্ত ফুলঝুরির সাথেই লালনের বিয়ে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।

About Author
Tamalika Sengupta

বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

Leave a Comment