কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তির জোরে অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার নাম এনি শিবা। একসময় তার প্রেমিক তাকে ঠকিয়ে ছিলেন। লিভ ইন এ থাকাকালীন তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন পরিবার এবং সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন এনি। কেরালার তিরুবনন্তপুরম এর বাসিন্দা তিনি। তার বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে তাকে লেখাপড়া শিখিয়েছিলেন কলেজে পড়াকালীন আলাপ হয় একটি ছেলের সঙ্গে তারপর থেকেই ধীরে ধীরে তাদের ভালোবাসা গড়ে উঠতে থাকে।পরিচয় থেকে প্রেম। তারপর লিভ টুগেদার করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কিন্তু প্রেমের কয়েক মাস যেতে না যেতেই প্রেমিকের আসল রূপ সামনে আসে এনির। এনি গর্ভবতী হয়ে যাওয়ায় তার প্রেমিক তাকে ছেড়ে চলে যায়। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর নিজের বাড়িতে ফেরত আসে এনি।
কিন্তু তার বাবা মা তাকে ঘরে তুলতে নারাজ। তাদের মেয়ে তাদের কাছে মৃত, এমনই সিদ্ধান্ত জানায় এনির বাবা মা। এরপর সমাজ ও বিমুখ হয়ে যায় এনির প্রতি। এরপর থেকেই শুরু হয় এনির জীবনের নতুন লড়াই। তার ছেলে তখন মাস তিনেক। তিনি তখন থেকেই ছেলেকে কোলে নিয়ে স্টেশনে কমলালেবু ও আইসক্রিম বিক্রি করতে থাকে এনি। এবং পাশাপাশি চালায় তার পড়াশোনা।
কিছু কিছু টাকা জমিয়ে সমাজবিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রী লাভ করে এনি। এবং কোচিং সেন্টারে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য ট্রেনিং নিতে থাকে। কয়েক মাস ধরে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর আসে সাফল্য। 2019 সালে তিনি পুলিশের চাকরি পেলেন।2019 সালে পুলিশের এসআই পদে জন্য পরীক্ষায় বসার পরে ভালো সফল ও অর্জন করেন তিনি।
যেখানে স্টেশনে স্টেশনে কমলালেবু আইসক্রিম বিক্রি করতে হতো সেখান থেকে সরাসরি পুলিশের পদে। এ যেন সত্যিই গর্বের বিষয়। এরপর থেকেই এনিরবাবা মা অত্যন্ত খুশি এবং যে সমাজ তাকে তুচ্ছ করেছিল, সেই সমাজেরই একজন গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে এনি।